নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
১। রাজার অসুখ সারাতে কী কী করা হয়। তাতে কি অসুখ সারল ?
উঃ রাজার অসুখ সারাতে ডাক্তার, বদ্যি, হাকিম, কবিরাজ এল। রাজামশাইকে অনেক ওষুধ খাওয়ানো হল, মাথায় বরফ দেওয়া হল, পেটে সেঁক দেওয়া হল।
কিন্তু কিছু করেও রাজার অসুখ সারল না।
২। রাজামশাই ক্ষেপে গিয়ে কী বললেন?
উঃ রাজামশাই ক্ষেপে গিয়ে তাঁর সমস্ত পাত্রমিত্র বা অনুচরদের তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেন এবং তাদের পুঁথিপত্র যা কিছু আছে সব কেড়ে নিয়ে জ্বালিয়ে দিতে বললেন।
৩। রাজামশাই সম্বন্ধে সকলের কী ভাবনা হল?
উঃ রাজামশাই সম্বন্ধে সকলের ভাবনা হল যে, শেষ পর্যন্ত রাজামশাই বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন।
৪। “জান দিতে হয় জান দেব"- কারা একথা বলল? কখন বলল? কেন বলল?
উঃ মন্ত্রী, কোটাল, সেনাপতি, পাত্রমিত্র সকলে একথা বলল।
এক সন্ন্যাসী যখন রাজামশাইয়ের অসুখ সারানোর জন্য সকলকে এক শক্ত কাজের কথা বলল তখন সকলে এই কথা বলল।
তারা সকলে চাইত রাজামশাইয়ের অসুখ সেরে যাক—তাই তারা একথা বলল।
৫। সন্ন্যাসী কী বলল?
উঃ সন্ন্যাসী এমন একজন লোক খুঁজে আনতে বলল যার মনে কোনো ভাবনা নেই, যার মুখে হাসি লেগেই আছে এবং যে সব সময় সব অবস্থাতেই খুশি থাকে। সেই লোকের গায়ের জামা রাজামশাই একদিন পরলে এবং তার তোশকে একরাত শুলেই তিনি ভালো হয়ে যাবেন।
৬। "এ মূর্খেরা খুঁজতেই জানে না”-কে কী প্রসঙ্গে এই কথা বললেন। এরপর তিনি কী করলেন ?
উঃ সন্ন্যাসীর কথামতো যখন কেউ ভাবনাহীন, খোশমেজাজী লোকের সন্ধান পেল না এবং মন্ত্রীমশাইয়ের কাছে সেই খবর গেল, তখন তিনি রেগে গিয়ে এই কথা বললেন।
এই কথা বলে মন্ত্রীমশাই নিজেই সেই লোকের খোঁজ করতে বেরিয়ে পড়লেন।
৭। বাজারের কাছে মন্ত্রী কী দেখলেন? দেখে তিনি কী ভাবলেন ?
উঃ রাজারের কাছ মস্ত এক দালানের সামনে মন্ত্রী দেখলেন খুব লোক জমেছে এবং এক বুড়ো শেঠজি হাসিমুখে তাদের চাল, ডাল, পয়সা এবং কাপড় বিলোচ্ছেন।
তাকে দুঃখে মন্ত্রী ভাবলেন লোকটাকে বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছে ওর মনে কোন দুঃখ ভাবনা নেই। তাই সেই লোকটার একটা জামা ও তোশক রাজার জন্য চেয়ে নেওয়ার কথা ভাবলেন।
৮। শেঠজী ভিখারিকে তাড়িয়ে দিলেন কেন?
উঃ এক ভিখারি ভিক্ষা নিয়ে শেঠজিকে সেলাম না করে চলে যাচ্ছিল। এতে শেঠজি রেগে ভিখারিকে গাল দিয়ে, ভিক্ষা কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিলেন।
0 Comments