১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৪=৪
(ক) ‘সােমপ্রকাশ’ ছিল একটি ___________ পত্রিকা।
উত্তর : ‘সােমপ্রকাশ’ ছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
(খ) ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন ___________ ।
উত্তর : ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন জেমস্ আগস্টাস হিকি ।
(গ) মােহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ড জিতেছিল ___________ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর : মােহনবাগান আই.এফ.এ. শিল্ড জিতেছিল ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।
(ঘ) জীবনের ঝরাপাতা হল একটি ___________ ।
উত্তর : জীবনের ঝরাপাতা হল একটি আত্মজীবনী ।
২. ঠিক-ভুল নির্ণয় করাে : ১x৪=৪
(ক) ভারতের ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন প্রধানত সাংস্কৃতিক ইতিহাসচর্চার বিষয়।
উত্তর : ভুল l
(খ) সরকারি প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য সরবরাহ করে।
উত্তর : ঠিক l
(গ) সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মহাফেজখানায় সংরক্ষিত থাকে।
উত্তর :ঠিক l
(ঘ) সামাজিক ইতিহাস সামাজিক কাঠামাে ও বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উপর জোর দেয়।
উত্তর : ঠিক l
৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮
(ক) সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর :
সাময়িকপত্রের সঙ্গে সংবাদপত্রের পার্থক্য :
সাময়িকপত্র এবং সংবাদপত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি থেকে মূল পার্থক্যের যে দিক গুলি উঠে আসে, তা হল —
1. সাময়িকপত্র নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকাশিত পত্রিকা। কিন্তু সংবাদপত্র দৈনিক বা প্রত্যহ প্রকাশিত পত্রিকা।
2. সাময়িকপত্র প্রকাশিত হয় দামি কাগজে। কিন্তু সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়ে থাকে তুলনামূলক সস্তা দামের কাগজে।
3. সাময়িকপত্র বাঁধাই আকারে থাকে। কিন্তু সংবাদপত্র বাঁধাই আকারে থাকে না। তা বাঁধাইহীন আকারে প্রকাশিত হয়।
(খ) স্থানীয় ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?
উত্তর :
স্থানীয় ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব:
1. বৃহত্তর পরিসরে ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে এমন অনেক বিষয় থাকে, যা ইতিহাসে উপেক্ষিত থেকে যায়। স্থানীয় ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে সেই ফাঁক পূর্ন করা সম্ভব।
2. স্থানীয় ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা আঞ্চলিক লােকপরম্পরা, শিল্প স্থাপত্যের বিকাশ, আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের একটি রূপরেখা পাই। এছাড়া,
3. স্থানীয় ইতিহাস জাতীয় ইতিহাসের ধারাকে আরও শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ করে তােলে। স্থানীয় ইতিহাসের মূল কথাই হলাে”Start History at your Door” অর্থাৎ তােমার বাড়ির দরজা থেকেই ইতিহাসের শুরু।
(গ) ইন্দিরাকে চিঠি লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল নেহরুর?
উত্তর :
সূচনা: আধুনিক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম উপাদান হিসেবে নিঃসন্দেহে ব্যক্তিগত চিঠিপত্র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরূপ একটি ব্যক্তিগত চিঠি পত্রের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল “লেটার্স ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার”।
চিঠি লেখার উদ্দেশ্য : বুদ্ধি কিভাবে মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে চতুর ও শক্তিশালী করে তুলল, কিভাবে ধর্ম বিশ্বাস এর প্রচলন হল, অর্থবহ শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে কিভাবে ভাষার উদ্ভব হলাে, প্রাচীনকালের কিভাবে সমাজ সভ্যতা রাজতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হল প্রভৃতি সহজ ভাবে তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে এই পত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন l
জহরলাল নেহেরুর চিঠিগুলির সাহিত্যিক মূল্য অপরিসীম। ভারতবর্ষের ঔপনিবেশিক শাসন, ভারতে সভ্যতার অগ্রগতি, আর্যদের আগমন, রামায়ণ ও মহাভারতের আদর্শ, শক্তিশালী রাজবংশ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি নানা বিষয় এই চিঠিপত্রে স্থান পেয়েছে যা এই চিঠির গুরুত্বকে অমূল্য করেছে।
(ঘ) ফটোগ্রাফ কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : আধুনিক ইতিহাসচর্চার বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে ফটোগ্রাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফোটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবিকে কামেরাবন্দি করা যায়। এগুলি কোন গুরুত্বপূর্ন ঘটনা, কোন মহান ব্যক্তি, কোন হত্যাকাণ্ড বা অন্য কিছু হতে পারে। যা ফটোগ্রাফিতে হয়ে ওঠে প্রামান্য বিষয়।
গুরুত্বঃ-
1. ফটোগ্রাফি ইতিহাসচর্চার নতুন উপাদান সরবরাহ করতে পারে।
2. প্রচলিত তথ্য বা ঘটনার সত্যতা ফোটোগ্রাফির দ্বারা যাচাই করা যেতে পারে। তবে ফটোগ্রাফকে পুরােপুরি নির্ভরযােগ্য উপাদান বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন না।
0 Comments